ফাঁ;দ পেতে প্রেমিক বা বন্ধুর সঙ্গে বি;ছানায় শু;য়ে থাকে তিন তরুণী!

প্রেম, বন্ধুতা ও আড্ডার মাধ্যমে মিশন শুরু করে চ;ক্রের সদস্যরা। নিজেদের রূপ-যৌ;;ব;নের ফাঁ;দে ফে;লে কাছে ডাকেন ধনাঢ্য তরুণদের। তারা তিনজন। লামিসা বিনতে জাকির অর্থী (২১), তাসফিয়া বিনতে আশরাফ সারা (২০), মোসা. আসুহা আবেদীন রোজা (২২)। বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তিন তরুণী।

চেহারায় আভিজাত্যের ছাপ। কথা বলে ইংরেজি-বাংলার মিশ্রণে। চ;ক্রের বাসা রয়েছে বেইলী রোড ও খিলগাঁও এলাকায়।সেখানেই গড়ে তুলেছিল আ;স্তানা।

বন্ধুতা ও প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করে তু;মুল আ;ড্ডা দেয় তারা। ছুটে বেড়ায়। মা;স্তি করে। এমনকি ডেকে নেয় বাসায়ও। সেখানেই ঘটে মূল ঘটনা। ফিল্মের বেড সিনের মতোই। বি;ছানায় প্রায় উ;;ল;ঙ্গ হয়ে শুয়ে থাকে প্রেমিক বা বন্ধুর সঙ্গে। এরমধ্যেই একদল ঘরে ঢুকে জি;;ম্মি করে প্রেমিক ছেলেকে।

ছবি ও ভিডিও ধারণ করে। হু;;ম;কি-ধ;ম;কি দেয় ছবি, ভিডিও ভাইরাল করার। সামাজিক মর্যাদা ন;;ষ্ট করার। দাবি করা হয় বড় অঙ্কের টাকা। হু;;ম;কি-ধ;;ম;কিতে, সামাজিকতার কথায় ভ;য়ে কাবু ছেলেটি বি;পুল অর্থ দিয়ে মুক্তি চায়।

এভাবেই একের পর এক প্রেমের অভি;নয়, ন;;গ্ন ছবি ধারণ ও ব্ল্যা;কমেই;লে সফল হচ্ছিল এই চ;ক্রটি। তাদের ব্ল্যাকমেইলের শি;কা;র এক তরু;ণের অভি;যোগের প্রেক্ষিতে অবশেষে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তিন তরু;ণীসহ ছয়জনকে। মঙ্গলবার এই তিন তরু;ণী ও তাদের সহযোগীদের একদিনের রি;মা;ন্ড ম;ঞ্জুর করেছেন আদালত।

জানা গেছে, লামিছা এবং সারা নামে দুই ত;রুণীর সঙ্গে বন্ধুতা গড়ে উঠেছিল ব্ল্যাকমেইলের শি;কার যুব;কের। প্রায়ই ওই তরুণকে বেইলী রোডসহ বিভিন্ন এলাকায় ডেকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে বসে আড্ডা দিতো লামিসা ও সারা। হোয়াটসঅ্যাপে, ম্যাসেঞ্জারে কথা হতো প্রায়ই। এভাবেই রাতারাতি ঘ;;নি;ষ্ঠতা গড়ে ওঠে তাদের মধ্যে। ওই যুবক অভি;যোগ করেছেন, একসঙ্গে ইফতার করার কথা জানিয়ে কৌ;শ;লে তাকে বাসায় নিয়ে যান লামিসা।

ওই বাসায় যাওয়ার এক পর্যায়ে ওই দুই তরু;ণী ও তাদের অন্যান্য সহযোগীরা মিলে ওই যুব;ককে বি;;ব;স্ত্র করে ছবি ও ভিডিও ধারণ করে। ওই সময়ে তার সঙ্গে থাকা টাকা হাতিয়ে নেয় তারা।

ন;;গ্ন ভিডিও’র ভাইরাল করার ভ;য় দেখিয়ে ওই যুব;কের নিকট পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে এই চ;ক্র। টাকা দিতে অপা;রগতা প্রকাশ করলে তাকে ওই বাসায় মা;;রধ;র করা হয়। এক পর্যায়ে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা দিতে রাজি হন যুব;ক।

দাবিকৃত টাকা নিতে চারটি বিকাশ নম্বর দেয় চক্রের সদস্যরা। ভু;ক্তভো;গী যুবক ফোনে তার সহকর্মী ও আত্মীয়দের তাৎক্ষণিক প্রয়োজনের কথা জানিয়ে চ;ক্রের বিকাশ নম্বরে ওই টাকা আনার ব্যবস্থা করেন। ওই টাকা পাওয়ার পরই তাকে ছেড়ে দেয়া হয়। সেইসঙ্গে হু;;ম;কি দেয়া হয়, এ নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে ওই ভিডিও ও ছবি ভাইরাল করে দেয়া হবে।

তার সামাজিক মর্যাদা বলতে কিছু থাকবে না। জি;;ম্মি অবস্থা থেকে বের হওয়ার পর আবার হোয়াটসঅ্যাপে ন;;গ্ন ভিডিও ভ;য় দেখিয়ে চাঁদা দাবি করে ওই চ;ক্র। বিষয়টি নিয়ে বিষিয়ে উঠছিল ওই যুব;কের জীবন। এ ঘটনায় মামলার করার পর তদন্তে নামে ডিবির ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।

গত ৯ই মে সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় রমনা বেইলী রোড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় লামিসা, তাসফিয়া ও আসুহাকে। ওই দিন রাতেই খিলগাঁও তালতলা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ইমরান আহমেদ ওরফে নাজিম হোসেন, মো. খালিদ বিন মাইতুল ফাহিম ও মো. আসিফুল ইসলাম ওরফে আসিফকে। এ সময় তাদের কাছ থেকে সাতটি মোবাইল ফোন, ১০টি সিম কার্ড, ভিকটিমের আ;প;ত্তিকর ধারণকৃত ভিডিও এবং হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটিং জ;ব্দ করা হয়।

এ বিষয়ে ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আশরাফউল্লাহ জানান, মামলা তদন্তকালে তথ্য- প্রযুক্তির সহায়তায় এই চক্রের সদস্যদের শ;না;ক্ত করা হয়। তাদের অবস্থান নিশ্চিত হয়ে অভি;য়ান চা;লিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের রি;মা;ন্ডে জিজ্ঞাসাবাদ করলে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।